সুজন কৈরী: [২] কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক বলেন, ডান্ডাবেড়ি কে দেয়? এটা পুলিশ দেয়। পুলিশ বন্দিকে যখন কারাগার থেকে বুঝে নেয় তখন ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দেয়া হয়। লেখালেখি করা হয় জেলখানায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। পুলিশের রিকুইজেশন অনুযায়ী পরিয়ে দেয়া হয়। কারণ ডান্ডাবেড়ি থাকে কারাগারে।

[৩] মঙ্গলবার দুপুরে কারা অধিদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন।

[৪] তিনি বলেন, কারাগার থেকে জামিন নিয়ে নানা গল্প রয়েছে। তবে এগুলো ঠিক নয়। কারাগারে গেলে দেখতে পারবেন প্রতিটি কারাগারে দুটি বড় বড় ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে। একটি বোর্ডে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আরেকটি থাকে কারাগারের ভেতরে। এতে সুবিধাটা হচ্ছে, কার জামিন হয়েছে। এটা আসা মাত্র ডিসপ্লেতে দেখানো হয়। যে আত্মীয় নিতে আসছেন উনিও দেখতে পান। আর বন্দিও জানতে পারেন জামিনের বিষয়টি।

[৫] একজনের নাম দিয়ে অন্যজনের কারাগারে যাওয়ার উপায় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এনটিএমসির সঙ্গে সমন্বয় করে একটি ডেটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। একজন বন্দি যখন জেলখানায় প্রবেশ করে তখন তার ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিস ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এন্ট্রি করা হয়। সুতারাং আয়নাবাজি নিয়ে যে সিনেমা দেখেছি যে একজনের নামে আরেকজন। এটা আর নেই।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী